মিয়ানমারে আরেকটি সীমান্ত শহর দখল করলো বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মায়াওয়াদ্দির দখল করেছেন বিদ্রোহীরা। জান্তাবিরোধী হামলার পর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সেখান থেকে প্রায় ২০০ সেনা সদস্য একটি সেতু দিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়েছেন। সর্বশেষ সীমান্ত শহর মায়াওয়াদ্দির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।

বিভিন্ন ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। গত অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো চীনা সীমান্তের কাছে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেছে। তারপর থেকে সীমান্ত এলাকায় ধারাবাহিকভাবে পরাজিত হচ্ছে জান্তা বাহিনী।

২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। তারপর থেকেই দেশব্যাপী সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কিছু জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা একসঙ্গে কাজ করছে।

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেন, মায়াওয়াদ্দিতে অবশিষ্ট সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)-এর নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিরোধ বাহিনী।

তিনি বলেন, এটি আমাদের বিপ্লবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। কারণ মায়াওয়াদ্দি জান্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর, যা জান্তা সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়ানমার জান্তা সরকারের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেনি।

মায়াওয়াদ্দির ওপর হামলায় নেতৃত্বদানকারী জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী কেএনইউর মুখপাত্র সাও টাও নি বলেন, প্রায় ২০০ পলাতক মিয়ানমার সেনা থাইল্যান্ডের একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে জড়ো হয়েছিল।

নিউজ আউটলেট খিত থিট জানিয়েছে, সেনাদের আশ্রয় দেবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে থাই কর্তৃপক্ষ।