পশ্চিমবঙ্গে হাইকোর্টে নজিরবিহীন রায়, ২২ হাজার সরকারি চাকরি বাতিল!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের শিক্ষা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে ২২ হাজারের বেশির চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি মামলায় আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। 

রায়ে আরও বলা হয়,বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুদসহ বেতন পাওয়া সব টাকা ফেরত দিতে হবে। ঠিক যেমনটা ববিতা সরকার, অঙ্কিতা অধিকারীদের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ওএমআর শিট বিকৃত, প্যানেল বহির্ভূত সব চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি চলছিল এতদিন। বিতর্কিত চাকরি প্রাপ্তরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে তা পাঠানো হয় হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। বিতর্কিত চাকরিপ্রাপ্তদের বিভিন্ন আইনজীবীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মামলাটিই সুপ্রিম কোর্ট হয়ে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে আসে। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে সোমবার গোটা প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে কোর্ট জানিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কীভাবে সেই চাকরি দেওয়া হবে সে বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ সালে যারা পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের ওএমআর শিট আবারও মূল্যায়ণ করা হবে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে যোগ্যদের।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। সোমা দাস ছাড়া সকলের প্যানেল বাতিল। ডিএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কয়েকজন বেতন পেয়েছেন তারা যেন চার সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরত দেয়। ডিআই তা ডিএমকে জানাবেন। এই প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ সবাইকেই বেতন ফেরত দিতে হবে।