মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?

মিয়ানমার-থাই সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মিয়াবতী থেকে সেনা প্রত্যাহার করলো দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেখানে জান্তা সেনাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে সাময়িকভাবে পিছু হটেছেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। চলতি মাসের শুরুতে জান্তার কাছ থেকে দেশটির প্রধান বাণিজ্য এই শহরটি দখল করেছিল তারা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকায় জান্তা সেনারা ফিরে আসায় মিয়াবতী শহর থেকে ‘সাময়িকভাব পিছু হটেছে’ তারা।

মিয়ানমারের জাতিগত লড়াইয়ের অন্যতম একটি বাহিনী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ)। এই বাহিনীর নাম উল্লেখ করে স তাও নি বলেছেন, ‘মিয়াবতীর দিকে অগ্রসর হওয়া জান্তা সেনা এবং তাদের সমর্থন দেওয়া সেনাদের ধ্বংস করবে কেএনএলএ-এর সেনারা।’

সম্প্রতি মিয়াবতীতে হওয়া যুদ্ধে ৩ হাজার বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। কয়েকদিন ধরেই সীমান্তবর্তী একটি ক্রসিং সেতুতে লুকিয়ে থাকা জান্তা সেনাদের তাড়িয়ে দিতে যুদ্ধে লিপ্ত হন বিদ্রোহীরা।

থাই সরকার বলেছে, ইতোমধ্যেই পালিয়ে যাওয়া সেসব বেসামরিকদের অনেকেই মিয়ানমারে ফিরে এসেছেন। মিয়ানমারকে সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

স তাও নির মতে, মিয়াবতী পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একটি আঞ্চলিক মিলিশিয়ার সহায়তায় অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছেন জান্তা সেনারা। এপ্রিলের প্রথম দিকে কেএনইউ যখন মিয়াবতী অবরোধ করেছিল তখন ওই গোষ্ঠীটি চুপ করে দাঁড়িয়েছিল।

মিলিশিয়া গ্রুপ কারেন ন্যাশনাল আর্মি এবং জান্তার কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার তিন বছর পর অভূতপূর্ব চাপের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা। দেশটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কাছে তার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।