বিটকয়েনের নতুন রেকর্ড: মূল্য ছাড়ালো ১ লাখ ৬ হাজার ডলার

বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন নতুন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ৫ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের পর থেকে এর মূল্য ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এশিয়ার বাজারে ১ লাখ ৬ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যদিও পরে এটি কিছুটা কমে ১ লাখ ৫ হাজার ডলারে স্থিতিশীল হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এই মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ। ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আগের বাইডেন প্রশাসনের চেয়ে অনেক বেশি সমর্থন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সিকে জাতীয় মজুদ হিসেবে সংরক্ষণের পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত তেল মজুদের আদলে তৈরি করা হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এক্সএম ডট কম-এর বিশ্লেষক পিটার ম্যাকগুয়্যার বলেন, নির্বাচনের পর থেকে বিটকয়েনের মূল্যবৃদ্ধি প্রায় প্যারাবলিক। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফোমো বা সুযোগ হারানোর ভয় এই বৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করছে।

তিনি আরও জানান, অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন, বছরের শেষ নাগাদ বিটকয়েনের মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে এবং ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ওপরে চলে যেতে পারে।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তা ডেভিড স্যাকসকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেন। স্যাকস পেপ্যালের সাবেক নির্বাহী এবং ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও দাতা ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

এছাড়া, ট্রাম্প ওয়াশিংটনের ক্রিপ্টোকারেন্সিপন্থি আইনজীবী পল অ্যাটকিনসকে ওয়াল স্ট্রিট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) প্রধান হিসেবে মনোনীত করার পরিকল্পনা করেছেন।

বর্তমান এসইসি চেয়ারম্যান গ্যারি জেনসলার গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের দিন তিনি পদত্যাগ করবেন। টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এসইসি আমাদের মিশন পূরণে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে।

ট্রাম্প এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তার নতুন প্রশাসনের প্রথম দিনেই তিনি গ্যারি জেনসলারকে বরখাস্ত করবেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিতর্ক শুরু হয়।