অমৃতসরে ব্ল্যাকআউট মহড়া শুরু, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ

সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর জেলা প্রশাসন আবার ব্ল্যাকআউট মহড়া শুরু করেছে। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন অমৃতসর জেলার জনসংযোগ কর্মকর্তা। মহড়াটি শুরু হয় স্থানীয় সময় বুধবার (৭ মে) রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে। এ সময় বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকতে এবং আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানানো হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে। 

জেলা জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় সিভিল ডিফেন্স মহড়ার অংশ হিসেবে বুধবার রাতের শেষভাগে অমৃতসর জেলা প্রশাসন ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থা পুনরায় শুরু করে, যাতে জনসুরক্ষা ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করা যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে অমৃতসর জেলা প্রশাসন আবার ব্ল্যাকআউট প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অনুগ্রহ করে বাড়ির বাইরে ভিড় করবেন না, আতঙ্কিত হবেন না, ঘরে থাকুন এবং বাইরের আলো বন্ধ রাখুন।’

অমৃতসরে এই ব্ল্যাকআউট ছিল সারা দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে একটি সিভিল ডিফেন্স মহড়ার অংশ। এই মহড়ায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্ধারিত সময়ে আলো নিভিয়ে রাখা হয়।

প্রথমবার ব্ল্যাকআউট সম্পর্কে এএসআই জগতার সিং বলেন, ‘ব্ল্যাকআউট হয়েছিল রাত ১০:৩০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত, মোটামুটি আধা ঘণ্টা। নির্দেশনা ছিল কোথাও যেন কোনও আলো না থাকে যাতে শত্রু বুঝতে না পারে এখানে একটি শহর রয়েছে। এই মহড়া দেশের স্বার্থে করা হচ্ছে… কিছু মানুষ ব্ল্যাকআউট অনুসরণ করছেন, আবার কিছু মানুষ করছেন না… সাইরেন বাজানো হয়েছিল এবং তার দুই মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট কার্যকর হয়…”

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহার সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও একই ধরনের ব্ল্যাকআউট মহড়া পালিত হয়েছে। বারমের, গ্বালিয়র, সুরাত, শিমলা এবং পাটনা সহ বিভিন্ন শহরে সরকারি ভবন এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলো বন্ধ রাখা হয়।

রাজধানী দিল্লিতেও রাষ্টপতি ভবন এবং বিজয় চকে আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছিল। পাটনার রাজভবনও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।

দিনের শুরুতে দিল্লি, মুম্বাই, পুনে, বেঙ্গালুরু, গ্বালিয়র এবং জয়পুর সহ বড় শহরগুলোতেও সিভিল ডিফেন্স মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এই মহড়াগুলোর উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া কেমন, তা মূল্যায়ন করা।

এই জাতীয় প্রস্তুতি মহড়াটি আসে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ‘অপারেশন সিন্দূর’ চালুর পরপরই, যা ছিল গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী পরিকাঠামোর ওপর পাল্টা হামলা। ওই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।