অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমস্যায় ব্রিকসের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: শি জিনপিং

nonameচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্ব অর্থনীতি নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বলেছেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর বিকাশ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রবিবার ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে এ কথা বলেন।

শি জিনপিং বলেন, ‘উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির এ ব্লকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতির দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে ইতিবাচক।’ তিনি ব্লকভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আস্থা বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণে ব্রিকস দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’

বিরাট বাজার ও শ্রমশক্তির বিবেচনায় ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর শক্তি ও সম্ভাবনা অপরিবর্তিত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে ব্রিকসের উন্নয়ন সম্ভাবনা ইতিবাচকই রয়েছে।’

ব্রিকসের প্লেনারি অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মোদি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের জীবনকে নিরাপদ করে তুলতে হলে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস-মোকাবিলার প্রশ্নে সহযোগিতার কোনও বিকল্প নেই। আমাদের উন্নয়ন ও আর্থিক সমৃদ্ধিতে সন্ত্রাসবাদ খুব লম্বা ছায়া ফেলে। এর বিরুদ্ধে প্রত্যেক দেশকে একা যেমন, তেমনি যৌথভাবেও লড়তে হবে। জঙ্গিদের অর্থায়ন, অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ বা রাজনৈতিক সমর্থন–সব কিছুকেই সমূলে উৎপাটন করতে হবে।’

প্রতিবেশী পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে মোদি দেশটিকে ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর’  হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সম্মেলনের সমাপ্তি ভাষণেও নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন ব্রিকসের সব সদস্য দেশই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে সন্ত্রাসে যারা মদত দেয় বা জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় তারাও সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কোনও অংশে কম বিপজ্জনক নয়।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে ব্রিকস গঠিত হয়েছে। সম্মেলনে এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেন। সম্মেলনে গোয়া ডিক্লারেশন পাঠ করা হয়। দীর্ঘ এ বিবৃতির একটি অনুচ্ছেদে ব্রিকস নেতারা সহমত পোষণ করে বলেন, কোনও ধর্মীয়, জাতিগত, আদর্শগত, রাজনৈতিক বা অন্য কোনও কারণ দেখিয়েই সন্ত্রাসবাদের হয়ে সাফাই দেওয়া যায় না। ভারতসহ ব্রিকস দেশগুলোতে হওয়া সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাগুলোরও তারা নিন্দা করেছেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এএ/