ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক নতুন ক্রসরোডে আছে: চীনা কূটনীতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক একটি নতুন ক্রসরোডে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বেইজিংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, নজিরবিহীন জটিল একটি সময় পার হলে এই সম্পর্ক সঠিক পথে ফিরে আসবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাণিজ্য, মানবাধিকার ও কোভিড-১৯ এর উৎসসহ বিভিন্ন বিবাদপূর্ণ ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপড়েন বাড়ছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানিকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অভিযোগ, এসব কোম্পানির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক রয়েছে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতে স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীনের বিষয়ে যেসব নীতি গ্রহণ করেছে, তা দুই দেশের স্বার্থের জন্যই ক্ষতিকর এবং তা বিশ্বের জন্য প্রচণ্ডরকমের বিপদ বয়ে আনবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন মেয়াদে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাগ্রহণ করলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়াং ই মনে করেন দুই পক্ষের জন্যই এখন ‘আশা-আকাঙ্ক্ষার নতুন জানালা খোলার’ এবং নতুন দফায় আলোচনা শুরুর সময় এসেছে।
সরাসরি ট্রাম্প ও বাইডেন কারও নাম উল্লেখ না করে ওয়াং ই বলেন, ‘ওয়াশিংটন যদি শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে তাহলে উভয় পক্ষের মধ্যকার সংঘাত সমাধান করা যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষ চীনের দ্রুত অগ্রগতি দেখে আতঙ্কিত। তবে সবচেয়ে টেকসই নেতৃত্ব তাকেই বলে যারা অন্য দেশের অগ্রগতি আটকে না রেখে নিজেকে অব্যাহতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়।’
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তবে বাণিজ্য ও অন্যান্য ইস্যুতে এখনও চীনকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন তিনি।