উইঘুর নিপীড়ন, চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের

চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার পশ্চিমা দেশগুলোর এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়।

নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় চীনের চার ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা এবং তাদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন।

এর পরপরই চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরসহ অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রেখেছে চীন। এসব গণআটক কেন্দ্রে বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। তবে চীন এগুলোকে 'সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।চীনের জিনজিয়াং-এ উইঘুর বন্দিশিবির

উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণকে গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি যে গণহত্যা তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেখানে চীনের আচরণ মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। সূত্র: বিবিসি।