অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী হওয়ার আহ্বান চীনের

চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, অস্ট্রেলিয়ার সহযোগী হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেন্নি অং এর উদ্দেশে তিনি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ‘ইতিবাচক শক্তি’ সঞ্চয় করার আহ্বান জানান।

শুক্রবার বালিতে জি২০ গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সময় এক পার্শ্ববৈঠকে ওয়াং আশাবাদ ব্যক্ত করেন অস্ট্রেলিয়া ‘সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং চীন সম্পর্কে সঠিক বোঝাপড়ায় আসতে পারে’। শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বৈঠকের সারাংশ প্রকাশ করেছে।

ওয়াং ই বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কে সমস্যার মূল কারণ পূর্ববর্তী অস্ট্রেলিয়ান সরকারগুনো চীনকে প্রতিপক্ষ এবং এমনকি 'হুমকি' হিসেবে বিবেচনা করার জন্য জেদের মধ্যে রয়েছে’। অস্ট্রেলিয়ার কথা এবং কাজ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

২০২০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়লা এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি সীমিত রেখেছে চীন। বেইজিংয়ের উদ্বেগের মধ্যে ছিল ক্যানবেরার কোভিড -১৯ এর উৎস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান, অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে চীনা হস্তক্ষেপের তদন্ত এবং অস্ট্রেলিয়ার ৫জি চালুতে চীনের হুয়াওয়ের অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেন্নি অং বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবারের বৈঠক ছিল দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রথম পদক্ষেপ তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর আরোপ থাকা বেইজিংয়ের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবারও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ সতর্ক করে বলেন বেইজিং আরও ‘আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে’।

সূত্র: রয়টার্স