মস্তিষ্ক ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিভোলুম্যাব ওষুধ দেওয়া হয়েছে তারা, যাদেরকে কেমোথেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাদের তুলনায় বেশি দিন বেঁচে ছিলেন।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনির ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা নিভোলুম্যাবের সঙ্গে আরও একটি ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের টিউমারও ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত বা ছোট হয়ে গেছে।
চিকিৎসকরা জানান, এই ইমিউনিথেরাপি ড্রাগ গ্রহণের ফলে রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। মস্তিষ্ক ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
সাড়ে তিনশ রোগীর ওপর এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। দেখা গেছে, যেসব রোগীকে ইমিউনিথেরাপি ড্রাগ নিভোলুম্যাব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাদের ৩৬ শতাংশ এক বছর পরেও বেঁচে ছিলেন। কিন্তু কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১৭ শতাংশ।
যেসব রোগীদের ওপর এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে তাদের ছয় মাসেরও কম সময় বেঁচে ছিলো।
বিজ্ঞানীরা দাবি, এই ইমিউনিথেরাপি চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তুলনামূলকভাবে কম। তাদের দশ জনের একজনের শরীরে এখন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণও অবশিষ্ট নেই। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এএ/