ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মসজিদ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৯ জন নিহতের ইউরোপের ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে টহল জোরদার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মসজিদগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

mosque_4

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা হয়। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে আল নুর মসজিদ এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদের কাছ থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এই হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জন নিহতের কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। হামলার পর চার সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক অস্ট্রেলীয় নাগরিক রয়েছেন। মুসলিম বিশ্ব, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে মুসলিম মানুষের বাস ফ্রান্সে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইসলামি জঙ্গিরা বড় ধরনের দুটি হামলা চালায়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টানার শুক্রবার টুইটারে জানিয়েছেন, নিউ জিল্যান্ডে হামলায় ৪৯ নিহতের ঘটনায় ফ্রান্সের ধর্মীয় স্থাপনার কাছাকাছি স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ঘিরে টহল জারি থাকবে।

যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, লন্ডনের মসজিদগুলোকে ঘিরে টহলের ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ বাহিনীর সন্ত্রাসদমন শাখার প্রধান নিল বসু বলেছেন, মসজিদগুলোর চারপাশে আমরা টহল জোরদার করব এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে আলোচনা, কীভাবে তারা নিজেদের ও স্থান রক্ষা করবেন তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে।

বসু আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তারা নিউ জিল্যান্ডকে যে কোনও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। আমরা সব সম্প্রদায় ও যুক্তরাজ্যের বিদেশি অংশীদারদের পাশে আছি এবং যে কোনও হুমকি মোকাবিলায় তাদের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কর্মকর্তা বলেন, মানুষকে সুরক্ষা ও কার্যকর নিরাপত্তা দিতে দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থাপনা ও নির্দিষ্ট সম্প্রদায় যে হুমকি পায় তা আমরা আমাদের গোয়েন্দা অংশীদারদের নিয়ে অবিরাম নজরদারিতে রাখছি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদগুলোতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করেছে। টুইটারে জানানো হয়, সব ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ভয়ভীতি ছাড়াই ধর্মীয় অনুশীলন নিশ্চিত করতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।