ইউরোপে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না পাকিস্তান এয়ারলাইন্স

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাভিয়েশন সেইফটি এজেন্সি (ইএএসএ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন বাতিল করেছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিরাপত্তার শঙ্কার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি তদন্তে দেশটির পাইলটদের এক-তৃতীয়াংশ অসাধু উপায়ে লাইসেন্স সংগ্রহ করার বিষয়টি উন্মোচিত হওয়ার কয়েকদিন পর এই সিদ্ধান্ত নিলো ইএএসএ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

ff43345fcdb24411902243f48ad91ec0_18

পিআইএ’র কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইএএসএ জানিয়েছে, তারা এয়ারলাইনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখতে পেয়েছে। ফলে বুধবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হচ্ছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান কোম্পানির কাছে পাঠানো চিঠিতে ইউরোপীয় সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, পিআইএ’র নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় ঘাটতি পেয়েছে তারা। তাই বুধবার মধ্যরাত থেকেই পিআইএ’র ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি বাতিল করা হচ্ছে। ছয় মাস পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

পাকিস্তানের আরেকটি বেসরকারি এয়ারলাইন কোম্পানি ভিশন এয়ারের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে ইএএসএ।

এর আগে সোমবার ভিয়েতনামের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (সিএএভি) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভিয়েতনামের এয়ারলাইন্সে কর্মরত পাকিস্তানের সব পাইলটকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিএএভি’র প্রধান।’ পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অব্যাহতি কার্যকর থাকবে। পাইলটদের প্রোফাইল পর্যালোচনা করতে সিএএভি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের এভিয়েশন মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার জানান, তার দেশের ৪০ শতাংশ ( ৮৬০ জনের মধ্যে ২৬২) পাইলটই ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালান। তিনি জানান, পাকিস্তানের ২৬২ জন পাইলট নিজেরা পরীক্ষা না দিয়েই লাইসেন্স পেয়েছেন। তাদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে অন্য কেউ। এরপরেই আইএটিএ’র তরফ থেকে বলা হয় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পাইলটদের লাইসেন্স সংগ্রহে অনিয়ম পাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে মারাত্মক ঘাটতি প্রতিফলিত হয়। এই ঘোষণার পর পিআইএ তাদের ৪৩৪ জন পাইলটের মধ্যে ১৫০ জনকে ‘গ্রাউন্ডেড’ করে।