ইরানের সিদ্ধান্ত বদলের দাবি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের

ইরানের বিরুদ্ধে একযোগে বিবৃতি দিলো জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপের এই তিন প্রধান দেশের দাবি, ইরানকে সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান কতটা ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে, তার সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। সেই চুক্তি ভাঙা উচিত হবে না ইরানের। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

ইরান সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়াবে। সোমবার থেকে সেই কাজও শুরু করে দিয়েছে ইরান। এটি করা হলে পরমাণু অস্ত্র বানাতে ইরানের আর কোনও অসুবিধা হবে না।

পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের তিনটি প্রধান দেশের বক্তব্য, ইরানের এ কাজ অন্যায়। ইরান ২০১৫ সালে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা থেকে তারা সরে আসছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ইরান ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত বাড়াচ্ছে। এই কাজের পিছনে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। ইরান চুক্তি ভাঙছে।

এই চুক্তি বহাল রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তিন দেশের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন আসছে। এই অবস্থায় কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার সুযোগ ইরানের সামনে এসেছিল। তারা তা ভেস্তে যেতে চলেছে।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে সরে আসেন। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সই করেছিল ইউরোপের তিন দেশ ও চীন।

জর্ডনে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে একটি সমাবেশে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, বিশ্বে যেন আর নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না হয়। আমরা এমন এক সময়ে আছি, যখন আরও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এর পরিণতি মারাত্মক হতে বাধ্য।