নতুন স্ট্রেইন ঠেকাতে সক্ষম ফাইজারের ভ্যাকসিন

দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সীমিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এরপর রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ করে। কিন্তু মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি এই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে নতুন আরেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এখবর জানিয়েছে।
সোমবার জার্নাল নেচার ম্যাগাজিনে পিয়ার রিভিউয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় যে দুটি নতুন করোনার স্ট্রেইন এখন সংক্রমিত হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেকর ভ্যাকসিন সেটির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, সাধারণ করোনা ভাইরাস থেকে নতুন স্ট্রেইন অনেক দ্রুত ছড়ালেও সেটি অতিরিক্ত ক্ষতিকর নয়।
বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছিল, নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াইয়ে সক্ষম তাদের ভ্যাকসিনগুলো। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গবেষণা রিপোর্ট বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াইয়ে কম কার্যকর। দুই হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে।
জার্নাল নেচারে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধেও কার্যকর। তবে এতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চরিত্র দ্রুত বদলাচ্ছে। ফলে এখন যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা একই রকম কার্যকর থাকবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে তিনটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে, তার প্রতিটিই কার্যকর। ভ্যাকসিন প্রয়োগের গতি আরও দ্রুততর করা হবে।
তিনি আরও জানান, লক্ষ্য রাখা হবে, যাতে ভ্যাকসিন নষ্ট না হয়ে যায়। বায়োএনটেকের টিকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। তা হিমাঙ্কের অনেক কম তাপমাত্রায় রাখতে হয়।
স্পান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা পাওয়ার তালিকার পেছনে। প্রয়োজনে তাদের উপরে আনা হবে। দ্রুত তাদের টিকা দেওয়া হবে।