ব্রিটিশ স্ট্রেইনে রাশিয়ায় করোনার নতুন প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা

করোনাভাইরাসের তথাকথিত ব্রিটিশ স্ট্রেন নিশ্চিতভাবে বসন্তের মাঝামাঝিতে রাশিয়ায় প্রবেশ করবে। রাশিয়ার মেডিসিন মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ ও ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ইয়েভজেনি টিমকভ এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, তখন সংক্রমণের নতুন ঢেউ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি এ কথা জানান।

বিশ্বে করোনাভাইরাস জনিত মহামারির মধ্যেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্টে ভাইরাসটির নতুন একটি স্ট্রেইন শনাক্ত হয় যা অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। কেন্টে শনাক্ত হওয়া এ ভ্যারিয়েন্টটি ক্রমাগত অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়াতে শুরু করে এবং এরইমধ্যে ৮৪টিরও বেশি দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে।

ইয়েভজেনি টিমকভ বলেন, ব্রিটিশদের স্ট্রেনটি খুব শিগগির রাশিয়ায় পৌঁছাবে। সম্ভবত বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে তা হবে। সুতরাং, আমরা যদি এখনোই করোনভাইরাস বিধিনিষেধকে শিথিল করি তবে আরও একটি প্রাদুর্ভাব হবে যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’

 তিনি আরও বলেন,  জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার অতিরিক্ত বোঝা এড়াতে আমাদের এটির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

রুশ বিশেষজ্ঞ বলেন, অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় ব্রিটিশ রূপটি আরও সংক্রামক।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত   রাশিয়ায় ৪০ লাখ ১২ হাজার ৭১০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন  ৩৫  লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ জন।  দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ১৩৪ জনের।  

কয়েক দিন আগে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষাগারের নেটওয়ার্ক (কোভিড-১৯ জিনোমিকস ইউকে কনসোর্টিয়াম) এর পরিচালক ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ শ্যারন পিকক সতর্ক করে বলেছেন, ইংল্যান্ডের কেন্টে পাওয়া যাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি বিশ্বজুড়ে জেঁকে বসতে যাচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত যে ভ্যাকসিনগুলো অনুমোদন পেয়েছে তা পুরনো বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসকে মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এ ভ্যাকসিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কাজ করবে, যদিও এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।