ফ্রান্সে ১৫ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক মানে ধর্ষণ

ফ্রান্সে ১৫ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ যৌন সম্পর্ক করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হওয়া নতুন একটি আইনে এমন ধারা রাখা হয়েছে। আইন অমান্য করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

উন্মুক্ত সমাজের ফ্রান্সে নারী ও বাচ্চাদের ওপর যৌন নিগ্রহ বেড়েই চলেছে। অনেক সময় তা প্রকাশিত হয় না। কিন্তু ২০১৭ সালের মি-টু আন্দোলন অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। ফ্রান্সেও তা আলোড়ন ফেলেছে। অনেক তারকার ভাবমূর্তি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। ২০১৮ সালেই ফ্রান্স যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ আইন কড়া করেছে। এবার এই নতুন আইন প্রণয়ন করা হলো।

অতীতে ফ্রান্সে 'এজ অব কনসেন্ট' বা যৌন সংসর্গের ক্ষেত্রে সম্মতির ন্যূনতম বয়স ছিল ১৫। এর নিচে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলে আইনজীবীদের প্রমাণ করতে হতো, সম্মতি ছাড়া সেই সম্পর্ক হয়েছে। কেবল তখন তা ধর্ষণ বলে স্বীকৃত হতো। এবার নতুন আইনে সম্মতির কোনও বিষয় রাখা হয়নি। এখন থেকে ১৫ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্কদের যৌন সম্পর্ক মানেই ধর্ষণ বলে চিহ্নিত হবে।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হওয়ার আগে বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও অনুমোদিত হয়েছিল। আইন পাস হওয়ার পর বিচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানদের জন্য এক ঐতিহাসিক আইন হলো। কোনও প্রাপ্তবয়স্ক আর সম্মতির ভিত্তিতে ১৫ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারবে না।

তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কিছু সদস্য বলেন, যদি ১৫ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা হয়, তাহলে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে বয়সে কয়েক বছরের বড় কেউ সম্পর্ক স্থাপন করলেই শাস্তি পাবে। এতে সমাজে বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে।

অবশ্য আইনে একটি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট ধারা রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে পাঁচ বছর পর্যন্ত বড়রা সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুললে তাকে ধর্ষণ বলা হবে না। কিন্তু যৌন নিগ্রহ করলে শাস্তি পেতে হবে।