তুরস্ককে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্যোগের ঘটনায় তুরস্কের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছে রাশিয়া। সোমবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তুর্কি উদ্যোগকে ইউক্রেনের সামরিক মনোভাবে রসদ যোগাবে বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান গত মাসে ইউক্রেনের সীমান্ত সুরক্ষায় কিয়েভকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সীমান্তের ওপারে রুশ সেনাদের উপস্থিতির কারণে ইউক্রেন সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে চায়।

এরদোয়ান ওই সময় বলেছিলেন, বিদেশি পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে একটি মঞ্চ গঠন করছে ইউক্রেন। এই মঞ্চে প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এটি কোনও তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়।

সোমবার এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের তুর্কি সহকর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছি সতর্কভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং কিয়েভের সামরিক মনোভাবে রসদ যোগানো থামানোর জন্য।

ল্যাভরভ আরও বলেন, ক্রিমিয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের আগ্রাসী পদক্ষেপকে উৎসাহ দেওয়া রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার সীমা লঙ্ঘন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি আঙ্কারা আমাদের বৈধ উদ্বেগের ভিত্তিতে নিজেদের সীমারেখা সমন্বয় করবে।

২০১৪ সালে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়ার বিচ্ছিন্ন হওয়ার সমালোচনা করেছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। ওই সময়েও ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরদোয়ান। ২০১৯ সালে কিয়েভের কাছে সামরিক ড্রোনও বিক্রি করে আঙ্কারা। একই সঙ্গে সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগোরনো-কারাবাখ সংকটে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে তুরস্ক। বিশেষ করে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে।