১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন ইইউ-এর

১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার–বায়োএনটেক-এর করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার এই অনুমোদন দেয় ইইউ-এর ওষুধ সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ)। আগামী মাস থেকে এটি ব্যবহারের অনুমতির কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এটিই শিশুদের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম ভ্যাকসিন।

ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও সেটি ছিল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।

ট্রায়ালে এই টিকা শিশুদের জন্য খুবই নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনটি অনুমোদনের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখন টিকাদান কর্মসূচির আরও বেগবান হবে। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে স্কুলগুলোও খুলে দেওয়া সহজ হবে। লোকজনের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথ সহজ হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের আগেই অবশ্য ইএমএ-এর অনুমোদন সাপেক্ষে নিজ দেশের শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় জার্মানি। দেশটিতে আগামী ৭ জুন থেকে ১২ বছর বা তার অধিক বয়সী বেশি সবাই টিকার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জার্মানির ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলো গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে ইএমএ-এর পক্ষ থেকেও ভ্যাকসিনটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির টিকা নীতি বিষয়ক প্রধান মার্কো ক্যাভালেরি। তিনি বলেন, তার সংস্থা এতো দিন শুধু ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছিল। এখন বয়সের এই সময়সীমা ১২ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, ১২ বছর বয়স থেকেই যে কেউ ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।

শিশুদের জন্য অবশ্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবকরাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস।

ইএমএ জানিয়েছে, এই টিকা বেশ সহনশীল এবং এটি প্রয়োগের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরির বড় ধরনের কোনও আশঙ্কা নেই।