ইতিহাস গড়া হলো না আইসল্যান্ডের

কিছু সময়ের জন্য আইসল্যান্ডবাসী ভেবে নিয়েছিলো যে, ইউরোপে প্রথমবারের মতো নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট গড়েছে তারা। তবে পুনর্গননার পর দেখা গেলো ইতিহাস গড়া হয়নি তাদের।

দেশটির ৬৩ আসনের পার্লামেন্টের ৩০টি (৪৭.৬ শতাংশ) আসনে জয় পেয়েছে নারীরা। তবে আগে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় ৩৩টি (৫২ শতাংশ) আসনে নারীরা জয়ী হয়েছে।

ইউরোপের কোনও দেশেই এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আসনে নারীরা জয় লাভ করতে পারেনি। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে সবচেয়ে নিকটবর্তী সুইডেনের পার্লামেন্টের ৪৭ শতাংশ আসনে জিতেছে নারীরা।

অন্য অনেক দেশের মতো আইসল্যান্ডে নারী প্রতিনিধিত্বের কোনও আইনি কোটা নেই। তবে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নুন্যতম নারী প্রার্থী রাখার বিধান রেখেছে।

নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট গঠিত হওয়ার ঘোষণায় অনেকেই এই অর্জনকে মাইলফলক আখ্যা দেন। পুনর্গনণার আগে প্রেসিডেন্ট গাডনি জোহানেসন সম্প্রচারমাধ্যম আরইউভিকে বলেন, ‘ঐতিহাসিক এবং আন্তর্জাতিকতার আলোকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথমবার নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, আর ইউরোপেও এটা প্রথম। এটা ভালো খবর।’

লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বের শীর্ষ দেশ বিবেচিত হয়ে আসছে আইসল্যান্ড। গত ১২ বছর ধরে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রতিবেদনে তারা এই সংক্রান্ত তালিকার শীর্ষে।

নারী ও পুরুষের জন্য সমান প্যাটার্নাল ছুটি দেয় দেশটি। এছাড়া সম বেতন নিশ্চিতে ১৯৬১ সালে আইন করে তারা। ১৯৮০’র দশকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় দেশটিতে।