তিন হাজার বছর আগেও বিয়ার ও পনির খেয়েছে মানুষ

মানুষের হাতে হাতে বিয়ার এবং পনির পৌঁছে গোপন কিছু নয়। কিন্তু নতুন এক জরিপে দেখা গেছে ইউরোপে এর শেকড় কতোটা গভীর। অস্ট্রিয়ার একটি লবণের খনিতে প্রায় দুই হাজার সাতশ’ বছর আগে এগুলো খাওয়া হয়েছে বলে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অস্ট্রিয়ান আল্পস পর্বতের হলস্টাট খনির গভীরে পাওয়া মানুষের মলের নমুনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতালির বোলজানোর ইউরাক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাইক্রোবায়োলোজিস্ট ফ্রাঙ্ক মাইক্সনার ওই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে লবণ খনির কর্মীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাঁজন প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারতো দেখে তিনি হতবাক হয়েছেন।

ফ্রাঙ্ক মাইক্সনার বলেন, ‘আমার মতে এটা খুবই স্পর্শকাতর। ওই সময়ে এটা হতে পারে তা আমি আশা করিনি।’ গবেষকেরা বলছেন ইউরোপে পনির পাওয়ার সবচেয়ে প্রাচীন প্রমাণ এটাই।

প্রাচীন লেখা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণে অ্যালকোহল পানের কথা জানা যায়। তবে লবণ খনি কর্মীদের মলে পাওয়া নমুনা ওই সময়ে উপমহাদেশে বিয়ার পানের প্রথম প্রমাণ।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র হলস্টাট তিন হাজারেরও বেশি সময় আগে থেকে লবণ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফ্রাঙ্ক মাইক্সনার বলেন, ‘ওই স্থানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এটা আল্পস পর্বতের মাঝখানে। পুরো জনগোষ্ঠী ওই খনি কেন্দ্র করেই কাজ ও বসবাস করতো।’ কর্মীদের পুরোটা সময় কাটতো খনিতে। কাজ, খাওয়া, এবং বাথরুমের কাজও সেখানে সারতে হতো তাদের।

ওই এলাকায় সার্বক্ষণিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং লবণের অতি ঘনত্বের কারণে খনি কর্মীদের মল দীর্ঘদিন ভালোভাবে সংরক্ষিত থেকেছে।