নতুন সেনাবাহিনী তৈরির পরিকল্পনা ইউরোপের পাঁচ দেশের

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইউরোপের একাধিক দেশ। বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পাঁচটি দেশ। জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছে পাঁচ দেশ একত্রে একটি সেনাবাহিনী বা অ্যাকশন ফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে। দুইটি ভাগে বিভক্ত সেই বাহিনীর একেকটি উইংয়ে দেড় হাজার করে সেনাসদস্য থাকবে। প্রতিটি দেশ থেকেই সেনা অংশগ্রহণ থাকবে। যার একটি উইং সবসময় স্ট্যান্ডবাই থাকবে। কোনও সমস্যা হলেই তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

শুধু ভূমিযুদ্ধই নয়, সাইবার যুদ্ধেও এই সেনাসদস্যরা পারদর্শী হবে বলে ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পাঁচ দেশই নতুন এই বাহিনী নিয়ে আশাবাদী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, চাইলে জোটের কয়েকটি দেশ এ ধরনের ফোর্স তৈরি করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অন্য দেশগুলির সবুজ সংকেত লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই বিষয়টি উঠানো হলে বাহনীটিকে আরও বড় করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব আসতে পারে।

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ এই খবর প্রচার করার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ন্যাটোর বিকল্প ফোর্স হিসেবে এটিকে দেখতে রাজি নন তিনি।

জার্মানির বামপন্থী দল অবশ্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামরিক শক্তি নয়। মানবাধিকারের বিষয় নিয়েই তাদের কাজ করা উচিত। নতুন বাহিনী তৈরির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। যেভাবে আফগান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছে বামপন্থী দল। সূত্র: ডিডাব্লিউ।