ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবি: আরও পদক্ষেপ নিতে সম্মত যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স

অভিবাসীদের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে ‘সব বিকল্প উপায় আলোচনায়’ রাখতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পাচারকারী চক্র মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা ইংলিশ চ্যানেলে বুধবার অভিবাসী ও আশ্রয় প্রার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরাসি কর্মকর্তারা প্রথমে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও পরে তারা ২৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। নৌকাডুবিতে সংশ্লিষ্টতায় চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তিনি হতভম্ব। মানব পাচারকারী চক্র ঠেকাতে যুক্তরাজ্য কোনও চেষ্টায় বাকি রাখবে না বলে জানান তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন যে, ফরাসি উপকূলে পৌঁছানোর আগেই অভিবাসীদের ঠেকাতে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং ইউরোপের অন্য সহযোগীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

বুধবার ব্রিটিশ সরকারের এক জরুরি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, মানুষকে সাগরে ঠেলে দেওয়া ঠেকাতে পাচার চক্রের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দেওয়া জরুরি। তিনি স্বীকার করেন, ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে এখন পর্যন্ত নেওয়া ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এই পদক্ষেপ জোরালো করতে ফ্রান্সকে আরও বেশি সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।

২০২১-২২ সালে উপকূলে পুলিশ টহল বাড়াতে ফ্রান্সকে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় আকাশপথে নজরদারি এবং নিরাপত্তাও বাড়ানো হবে।