নেদারল্যান্ডসে ১৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। রবিবার ডাচ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমস্টারডামে আসা ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের পরীক্ষা করলে ওই ব্যক্তিদের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ইউরোপের আরেক দেশ অস্ট্রিয়াতেও কোভিড শনাক্ত হওয়া একজনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট থাকার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

এই ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। যদিও এটি অস্পষ্ট যে, এটির উদ্ভব সেখানেই হয়েছে নাকি অন্য কোনও দেশ থেকে ছড়িয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ওমিক্রন দ্রুত মিউটেট করতে পারে। বিশেষ করে যেখানে টিকাদানের হার কম এবং সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গ্লোবাল হেলথের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মাইকেল হেড বলেন, হয়তো এই ভ্যারিয়েন্ট অন্য কোনও দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে। দেশটির খুব ভালো জিনোমিক সিকোয়েন্সিং সক্ষমতা রয়েছে। এটি মহামারির একটি পরিণতি হতে পারে। সম্ভব সাব-সাহারা আফ্রিকার কোনও দেশে প্রথম উদ্ভব হয়েছে ভ্যারিয়েন্টটি। অঞ্চলটিতে জিনোমিক সার্ভেইল্যান্স খুব বেশি নেই ও টিকাদানের হার একেবারেই কম।

তার মতে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব বিশ্বে টিকাদানের গতিতে মন্থর গতির কারণে একটি স্বাভাবিক পরিণতি। টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা এখনও বিশাল। যেমনটি সাব-সাহারা অঞ্চলে রয়েছে এবং যা বড় প্রাদুর্ভাবের জন্য সহায়ক। সূত্র: রয়টার্স।