ইউরোপে অভিবাসীদের প্রতি আচরণের নিন্দা পোপের

ক্যাথলিক ধর্মালম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস ইউরোপে অভিবাসীদের প্রতি আচরণে সংকীর্ণ স্বার্থপরতা ও জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। লেসবসের গ্রিক আইল্যান্ডে কয়েক ডজন অভিবাসীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এমন আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার জন্য অভিবাসীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

ভুলে যাওয়া যুদ্ধের প্রভাব যারা ভোগ করছে তাদের শাস্তি না দিয়ে অভিবাসনের এমন কারণগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান পোপ। মানুষের প্রবেশ ঠেকাতে দেয়াল নির্মাণেরও সমালোচনা করেন তিনি।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ইউরোপে এমন মানুষ রয়েছে যারা মনে করেন এই সমস্যাটি তাদের জন্য উদ্বেগের নয়– এটি দুঃখজনক। ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় সংকীর্ণ স্বার্থপরতা ও জাতীয়তাবাদ বিপর্যয়কর পরিণতিতে নিয়ে যায়।

তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি এমন কিছু চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে যেগুলো আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কিছু মাত্রায় এমনটি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অভিবাসন ইস্যুতে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।

পোপ বলেন, অন্যদের সম্পর্কে ভয় জাগিয়ে জনমত প্রভাবিত করা সহজ। মূল কারণকে আঘাত করা উচিত। ভুক্তভোগী দরিদ্র ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডায় ব্যবহৃত হওয়া মানুষদের আক্রমণ করা উচিত না।  

২০১৫ সালে ইউরোপে অভিবাসী প্রবেশের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে দশ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক ইউরোপে পৌঁছায়। এরপর বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়াতে এই সংখ্যা কমে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়ে আবেদনকারীদের ফেরত পাঠানোর। লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারেও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

গত মাসে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চ্যানেল পাড়ি দিতে রাবারের ডিঙ্গি নৌকা ডুবে গেলে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এই বছর চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্য পৌঁছেছেন ২৬ হাজারের বেশি মানুষ, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।