যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ অ্যাসাঞ্জের

নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে আপিল মামলায় জিতেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সোমবার ওই মামলার রায় দেন ব্রিটিশ হাই কোর্ট। আদালত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন অ্যাসাঞ্জ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইতোপূর্বে ব্রিটিশ আদালতই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার রায় দিয়েছিল। সোমবার মূলত ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে জয় পান উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে অ্যাসাঞ্জের সরাসরি আপিলের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তারা বলেছেন, তার মামলা আইনি গুরুত্বের একটি ইস্যু উত্থাপন করেছে। ফলে তিনি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আদালতকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে বলতে পারেন।

এর মানে দাঁড়ায়, যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা অ্যাসাঞ্জের চ্যালেঞ্জ শুনবে কি না। তবে এই রায় আপাতত যুক্তরাজ্য থেকে তার যে কোনও প্রত্যর্পণ স্থগিত করবে।

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত। অন্যটি কম্পিউটারের অপব্যবহার সংক্রান্ত। এসব অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা।

জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে সাত বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে তিনি অবস্থান করেন। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিচার চলছিল। পরে ওই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের আনা ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ২০১০ সালে উইকিলিকস কর্তৃক আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন বাহিনীর পাঁচ লাখ গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগও রয়েছে।

তার আইনজীবীর দাবি, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যেসব অপকর্ম প্রকাশ করেছেন সেটি ফ্রিডম অব দ্য প্রেস প্রোটেকশনের প্রথম সংশোধনীর আওতায় প্রকাশ করা হয়েছে।