রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যা জানা গেলো ১১তম দিনে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের আজ রবিবার ১১তম দিনে গড়ালো। দেশটির মারিউপুলসহ অবরুদ্ধ দুই শহরের নাগরিকদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে, সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দিনকে দিন পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কিয়েভের দিকে চোখ রেখেই এগিয়ে চলছে রুশ বাহিনী। দখলকৃত ক্রিমিয়া হয়ে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ এবং মাইকোলাইভে একটি স্থল করিডোর স্থাপন করে অগ্রসর হচ্ছে তারা। কিয়েভের উত্তরের চেরনিহিভ শহরের আবাসিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী বোমা ফেলেছে রুশ সেনারা। হামলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানান, সোভিয়েত নকশার অবিস্ফোরিত বোমাটি এফএবি-৫০০ মডেলের।

রুশ বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে ইউক্রেনের বেসামরিক বাড়ি ঘর

এমন পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের নিরাপত্তা, আর্থিক সহায়তা এবং রাশিয়া ওপর চাপ অব্যাহত রাখা নিয়ে কথা হয় এই দুই নেতার মধ্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানায়নি হোয়াইট হাউজ।

স্পেসএক্স এবং টেসলার বস ইলন মাস্কের সঙ্গেও কথা বলেছেন জেলেনস্কি। এরপরই তিনি জানান, আরও স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট টার্মিনাল পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন।

রুশ আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ায় নিজেদের কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে মাস্টারকার্ড এবং ভিসা। ভিসার চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়া বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি আমরা। রুশ আগ্রাসনের ফলে দেশটির আর্থিক ব্যবস্থায় সবশেষ আঘাত এটি।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ছয় দফার প্রস্তাব পেশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একটি গণতান্ত্রিক প্রতিবেশি দেশে রাশিয়ার ভয়াবহ আগ্রাসন ব্যর্থ হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব নেতাদের একটি প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চলমান সংকট নিয়ে পোল্যান্ড সফরে করছেন মার্কিন পরররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখান থেকে স্বল্প সময়ের জন্য পোল্যান্ডের প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেনের মাটিতে পা রাখেন তিনি। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্লিনকেন। তার কাছে আরও সামরিক সরঞ্জামের সহায়তার আহ্বান জানান ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সেখানকার একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন ব্লিনকেন।

সূত্র: গার্ডিয়ান।