যুদ্ধে প্রথমবার কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক

ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও রোমানিয়ার নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় রাজধানী কিয়েভে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর পর দেশটির প্রতি সমর্থন জানাতে এই সফর করছেন ইউরোপীয় নেতারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের এটিই প্রথম কিয়েভ সফর। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন ত্যাগ করেননি জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস লোহানিস কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে করমর্দন করেন।

ইউক্রেন পৌঁছে ইউরোপীয় নেতারা ইরপিন শহরের কাছে বিধ্বস্ত ভবন ও গাড়ির ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে রুশ আক্রমণে এসব ভবন ও গাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে রুশ সেনাদের দ্বারা বড় আকারের নৃশংসতাকে সামনে তুলে আনা। জার্মান চ্যান্সেলর পরিস্থিতিকে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতা’ এবং ‘বোধহীন সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নেতারা ইউক্রেনীয় মন্ত্রীর বর্ণনা শুনেন।

ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি বীরত্বপূর্ণ শহর...বর্বরতার কলঙ্ক দ্বারা চিহ্নিত।

ইউরোপীয় নেতারা স্যুট পরে ছিলেন এবং দৃশ্যমান কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। তবে তাদের ঘিরে ছিলেন অনেক সেনা সদস্য।

ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে কিয়েভ সহযোগিতায় কার্পণ্য করার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। কিয়েভ বলছে, এই দেশগুলো অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব করছে এবং ইউক্রেনের মুক্তি ও নিরাপত্তার চেয়ে নিজেদের সমৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

এই সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ ইঙ্গিত দেন অস্ত্র সরবরাহ ও আর্থিক সহযোগিতার কথা। তিনি বলেন, ইউক্রেনের পাশে রয়েছে ফ্রান্স ও ইউরোপ।