রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে উঠলো কিয়েভ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আঘাত হেনেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। রবিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরটি কেঁপে ওঠে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এটিই কিয়েভে প্রথম রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। পূর্বাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোডনেস্ক শহরের পতনের একদিন পর ও ইউরোপে বিশ্বনেতাদের জড়ো হওয়ার দিন এই হামলা চালালো মস্কো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রবিবার ভোরে কিয়েভের মধ্যাঞ্চলে অন্তত চারটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরে দক্ষিণের শহরতলিতে আরও দুটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, রুশরা আবারও কিয়েভে হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও একটি কিন্ডার গার্টেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম এই সংঘাত পঞ্চম মাসে গড়িয়েছে। যুদ্ধ পাঁচ মাসে গড়ানোর মুহূর্তে ইউক্রেনকে সমর্থন করা পশ্চিমা জোটে বিভক্তির ইঙ্গিত ফুটে উঠছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে খাদ্য ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

যুদ্ধের শুরুতে রুশ বাহিনী কিয়েভ আক্রমণ করলেও একমাসের মধ্যে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং পূর্বাঞ্চলে সামরিক মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে ধীরে ধীরে কিয়েভের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। জুন মাসের পর থেকে শহরটিতে বড় কোনও রুশ হামলা হয়নি।

শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিটস্কো টেলিগ্রাম অ্যাপে জানিয়েছেন, রবিবারের হামলায় নয়তলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন আংশিক ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ রয়েছে। সাত বছরের এক মেয়েকে জীবিত বের করে আনা হয়েছে। মেয়েটির মাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মধ্যাঞ্চলীয় শহর চেরকাসিতেও রবিবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এই শহরটি প্রায় সংঘাতমুক্ত ছিল।

বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার দাবি অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা অভিযোগ করেছে, রুশ বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করছে, তারা হাজারো বেসামরিককে হত্যা করেছে এবং তাদের বেপরোয়া হামলায় ইউক্রেনীয় কয়েকটি শহর ধ্বংস হয়েছে এবং লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।