ইউরোপের ভয়াবহ তাপদাহ আগাচ্ছে উত্তরে

পশ্চিম ইউরোপে তাপদাহ আরও বেড়েছে। ভয়াবহ এই তাপদাহ মঙ্গলবার উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে চরম তাপ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর উত্তর স্পেনে সোমবার রেকর্ড তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও গ্রিসে দাবানলের কারণে হাজার হাজার মানুষকে নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সর্বকালের সবচেয়ে তীব্র উত্তপ্ত দিন প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফ্রান্সের কিছু অংশে ‘ধ্বংসাত্মক গরম’ পড়তে পারে।

স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামোরা এলাকায় দাবানলে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় ওই এলাকায় ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়ে পড়েছে। উত্তর পর্তুগালে দাবানল থেকে পালাতে থাকা এক বয়স্ক যুগল প্রাণ হারিয়েছেন।

ফ্রান্সের কয়েকটি অংশে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নান্তিসে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

দাবানলের কারণে গত কয়েক দিনে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের জন্য জরুরি আশ্রয় শিবির নির্মাণ করা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে একটি চিড়িয়াখানার প্রায় এক হাজার প্রাণী।

দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপ্রিয় পর্যটন অঞ্চল গিরোন্ডেতে দাবানল ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দেশটির ১৭ হাজার হেক্টর জঙ্গল পুড়িয়ে ফেলা দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় রয়েছে দমকলকর্মীরা। জিরোন্ডের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট জেন-লুক গেলিজে বলেন, ‘আমার মাথায় আসা ধারণাটি হচ্ছে এটা দৈত্য। এটা অক্টোপাসের মতো দৈত্য, সামনে- পেছনে উভয় দিকে শুধু বাড়ছে। তাপমাত্রার কারণে, বাতাসের কারণে, বাতাসে পানির অভাবের কারণে... এটা দৈত্য আর এর বিরুদ্ধে লড়াই করা খুবই কঠিন’।

সোমবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও মঙ্গলবার কমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা কম। যতদিন বাতাস শুস্ক থাকবে আর বাতাস পরিবর্তন থাকবে ততদিন স্বস্তি ফেরা কঠিন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তীব্র তাপমাত্রা এখন উত্তর ও পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের দুর্গম উত্তর-পশ্চিমে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। দাবানলে প্রায় এক হাজার ৩৩০ হেক্টর জমির গাছপালা নষ্ট হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি