পুতিনের হুমকি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ নিতে হবে: ইইউ

ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ নেওয়া উচিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকারে ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন ‘বিপজ্জনক মুহূর্তে’ পৌঁছেছে।

জোসেফ বোরেল এমন সময় মন্তব্য করলেন যখন ইউক্রেনে যুদ্ধে জন্য পুতিন আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। রিজার্ভ থেকে সাড়ে তিন লাখ সেনা জড়ো করার নির্দেশ দিয়েছেন তার প্রশাসনকে। অন্যদিকে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেওয়া লুহানস্ক, ডনেস্ক, খেরসন এবং জাপোরিজ্জিয়ায় গণভোটের আয়োজন করেছে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট আদায় করছে রুশ সেনারা।

এ প্রসঙ্গে জোসেফ বোরেল বলেন, ‘যুদ্ধ হঠাৎ করেই বিপজ্জনক মুহূর্তে পৌঁছেছে কারণ, রাশিয়ান সেনাবাহিনী ব্যাপক চাপের মুখে। আর পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন- যা খুবই বিপজ্জনক।’

ইউক্রেনে রাশিয়া যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল তাতে পিছিয়ে আছে বলে একমত পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, পুতিনের বাহিনী এখন ব্যাকফুটে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার্থে একটি কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে হবে মনে করেন ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতির প্রধান বোরেল।

তিনি আরও বলেন, ‘হয় আমরা এই যুদ্ধ শেষ করতে পারি, কিন্তু তাতে স্থায়ী শান্তি আসবে না বরং আরেকটা যুদ্ধ হবে’।

গত ২১ সেপ্টেম্বর পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দেশের অখণ্ডতা হুমকির মধ্যে পড়লে রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো। যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে। ব্ল্যাকমেইল অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের শক্তি নিয়ে জবাব দেবে।’

সূত্র: বিবিসি