আরেকটি ইউক্রেনীয় শহর থেকে পিছু হটলো রুশ সেনারা

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর লিম্যান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। শহরটি থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারকে পূর্বাঞ্চলে চলমান সংঘাতে রাশিয়ার বড় ধরনের ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শহরটিতে মোতায়েনকৃত কয়েক হাজার সেনা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে-এমন আশঙ্কা থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লিম্যান শহর দখলমুক্ত করা ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাশিয়ার রসদ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। শহরটি মুক্ত করায় ইউক্রেনীয় সেনারা আরও সহজে ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারবে।

অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় সেনারা শহরটি উপকণ্ঠে তাদের জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছে।

এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, লিম্যানে আবারও নীল ও হলুদ পতাকা উড্ডয়ন করা হলেও সেখানে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

লিম্যান শহরটি ডনেস্ক অঞ্চলে অবস্থিত। যে চারটি আংশিক দখলকৃত এলাকাকে রাশিয়া শুক্রবার নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করেছে ডনেস্ক সেগুলোর একটি। অবৈধ ভূমি দখল আখ্যায়িত করে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক উপদেষ্টা ইউরিক সাক বিবিসিকে বলেছিলেন, টানা কয়েক দিনের তুমুল লড়াইয়ের পর লিম্যানে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেন। যা উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

তিনি বলেছেন, রুশ সেনাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আত্মসমর্পণকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবন্দির আচরণ করা হবে।

রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও লিম্যান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে পূর্বাঞ্চলীয় ইজিউম শহর থেকেও সেনা প্রত্যাহার করেছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে এপর্যন্ত দুটি শহর ছাড়লো রুশ সেনারা।

/এএ/