জ্বালানি সংকটে প্রথমবার জার্মানিতে গ্যাস পাঠালো ফ্রান্স

ক্রমবর্ধমান জ্বালানির সংকটের মধ্যেই ইউরোপীয় সংহতির অংশ হিসেবে প্রথমবার জার্মানিতে গ্যাস পাঠিয়েছে ফ্রান্স। পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো এই গ্যাস দুই দেশের জ্বালানি ঘাটতি হ্রাসের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ। ইউরোপে রুশ জ্বালানির সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে এই চুক্তি করেছে দেশ দুটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

জার্মানি জ্বালানি প্রয়োজনীয়তার দুই শতাংশেরও কম ফ্রান্সের পাঠানো এই গ্যাস। তবু জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে মরিয়া বার্লিন ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

ফরাসি গ্রিড অপারেটর জিআরটিগ্যাজ বলেছে, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৩১ গিগাওয়াট ঘণ্টা পাঠাবে। ফ্রান্সের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে পাইপলাইনে তা পাঠানো হবে।

গত মাসে জ্বালানি সংহতি চুক্তির আওতায় জার্মানি অঙ্গীকার করেছে প্রয়োজনের সময় ফ্রান্সকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বিপরীতে গ্যাস দিয়ে জার্মানিকে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।

বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা যদি এখন ঐক্যবদ্ধ না হই, আমাদের যদি ইউরোপীয় সংহতি না থাকে, তাহলে আমাদের গুরুতর সমস্যায় পড়তে হবে।

রাশিয়া গ্যাসের প্রবাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে খুব একটা প্রভাবিত হয়নি ফ্রান্স। কারণ দেশটির জ্বালানির বেশিরভাগ আসে নরওয়ে থেকে।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বেড়েছে গ্যাসের দাম। যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত জার্মানির প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৫৫ শতাংশ রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তা কমে ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। জার্মানি রুশ তেলের ওপর নির্ভরশীলতা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়।

গ্যাসের ব্যবহার কমাতে জার্মানি নিজেদের কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশগত কারণে বন্ধের মুখে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখা হচ্ছে।