১৬ কোটি টাকা উদ্ধার, দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার ইইউ এমপি’র

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রিক সদস্য এভা কাইলি কাতারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বেলজিয়ামের তদন্তকারীরা দুই বাড়িতে এবং একটি স্যুটকেসে ১.৫ মিলিয়ন ইউরো (১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা) উদ্ধারের পর যে চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনি তাদের একজন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

অভিযোগ ওঠার পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে এভা কাইলিকে। মঙ্গলবার ৬২৫ এমইপি’র তাক অপসারণের পক্ষে ভোট দেন।

কাইলি কোনও বেআইনি কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন। তদন্ত শুরু হওয়ার পরই ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেতসোলা বলেছেন, কিছুই বাদ পড়বে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্তে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং আমাদের ব্যবস্থা আরও নিশ্চিদ্র করা হবে।

মঙ্গলবার এভা কাইলির আইনজীবী মিকালিস দিমিত্রাকোপৌলস বলেছেন, এভা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন, কাতারের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার বিষয়ে তার কোনও ভূমিকা নেই।  

বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালায়। এক সন্দেহভাজনের বাড়ি থেকে ৬ লাখ ইউরো, এক এমইপির ফ্ল্যাট থেকে দেড় লাখ ইউরো এবং ব্রাসেলসের একটি হোটেল কক্ষ থেকে সাড়ে সাত লাখ ইউরো উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার ২০০, ৫০, ২০ ও ১০ ইউরো নোটের জব্দকৃত অর্থের ছবি প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামের পুলিশ।

কাইলির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অর্থ উদ্ধার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তার আইনজীবী বলেন, আমার কোনও ধারণা নেই কোনও অর্থ উদ্ধার হয়েছে কিনা বা হলে পরিমাণ কত।  

রবিবার বেলজিয়ামের প্রসিকিউটর জানায়, বেলজিয়াম পুলিশ যে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে তার বিরুদ্ধে অপরাধী চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ, অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার তাদের প্রাক-বিচার আদালতে হাজির করা হবে।

অপর তিন এমইপি ইতালীয় হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের একজন সম্ভব পিয়ের অ্যান্টোনিও। তিনি সাবেক ইতালীয় এমইপি। এখন একটি মানবাধিকার সংস্থা পরিচালনা করছেন।

প্রসিকিউটররা বলছেন, যে একটি উপসাগরীয় দেশ বেশ কয়েক মাস ধরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল বলে তারা সন্দেহ করছিলেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটির নাম কাতার বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কাতার সরকার বলছে, অসদাচরণের এসব দাবি ‘গুরুতর অজ্ঞতাপ্রসূত’।