‘পুতিনের বিকল্প খুঁজছে ক্রেমলিন’

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিপর্যয়ে অসন্তোষ বাড়ছে দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরিকল্পনা নিয়েও ক্ষোভের দানা বাঁধছে তার প্রশাসনে। ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিকল্প খোঁজা শুরু করেছে ক্রেমলিন, এমন দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগের।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে পুতিনের বিশাল সামরিক বাহিনী। যুদ্ধের শুরুর দিকে অগ্রগতি অর্জন করলেও পরবর্তী তা ধরে রাখতে পারেনি। পশ্চিমা সহায়তায় ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে হারানো জায়গায় পুনরুদ্ধার করে চলছে। গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে মস্কোকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করছে, প্রত্যাশা অনুযায়ী ইউক্রেনে বিজয় অর্জন করতে পারেনি পুতিন। এমন ধারাবাহিক বিপর্যয়ে ক্রেমলিনে অসন্তোষ বাড়ছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।

ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ আক্রমণ এবং অগ্রগতি দুটোই স্থবির হয়ে পড়েছে। গত শরৎ থেকে হাজার হাজার হারানো জায়গায় পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভ। তবে পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুতে এখন তীব্র লড়াই চলছে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে। ছেড়ে কথা বলছে না কোনও পক্ষ। সবদিক মিলিয়ে পুতিনের পরিকল্পনা পুরোপুরি অস্পষ্ট।

একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইউক্রেনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে রুশ যোদ্ধারা। এর মধ্যে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় ভুগতে হচ্ছে মস্কোকে। ইউক্রেনের দাবি, এই যুদ্ধে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে মস্কো।

জেলেনস্কির প্রশাসনের বিশ্বাস, পুতিনের ধারাবাহিক বর্থ্যতার কারণে তার বিকল্প বা উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু করেছে মস্কো। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা অধিদফতরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ সম্প্রতি বলেন, পুতিনের চারপাশে বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে। রাশিয়ার সীমান্তের চারপাশে আরও বিষাক্ত হয়ে ওঠছে তার জন্য।

তিনি দাবি করেন, ‘ক্রেমলিনের ভেতরে যা ঘটছে তাতে আরও বেশি অসন্তোষের চিত্র বেরিয়ে আসছে। বোঝাই যাচ্ছে, অন্ধকার আরও গভীর হচ্ছে। এর মূল কারণ, পুতিন শাসনের ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয়। ফলে পুতিনের উত্তরসূরির সন্ধান শুরু হয়েছে।’

তবে তার জায়গায় কে বসতে পারেন এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি তিনি। আন্দ্রি ইউসভের এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি রাশিয়া। সূত্র: নিউজউইক