বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন খুঁজেছিল ব্রাসেলসে হামলাকারীরা

ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে হামলাকারী আত্মঘাতী জিহাদি ইন্টারনেটে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেলের কার্যালয় ও বাসার অনুসন্ধান করেছিল। হামলার পর একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা একটি কম্পিউটার থেকে এ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী

সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া এক প্রতিবেদন অনুসারে, ধ্বংস করা কম্পিউটারে রাস্তা থেকে তোলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ছবি ও ভবনের নকশা রয়েছে। কম্পিউটারে বোমা হামলাকারীদের একে অপরকে পাঠানো সর্বশেষ বার্তাও রয়েছে।

বিমানবন্দরে হামলাকারীদের একজন ব্রাহিম এল-বাক্রাউই নিজেকে পলাতক ও নিরাপদ বোধ করছেন না বলে উল্লেখ করেছেন।

ব্রাসেলস হামলার একদিন পর ম্যাক্স রুজ স্ট্রিটের একটি পরিত্যক্ত ডাস্টবিনকে কম্পিউটারটি উদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দরের সিসিটিভিতে ধরা পড়া তিন সন্দেহভাজন একই রাস্তা দিয়ে ট্যাক্সিতে ওঠেছিল। ট্যাক্সির চালক পরে পুলিশকে ওই ঠিকানায় নিয়ে যায়। সেখানে বিস্ফোরক সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকা জানিয়েছে, উদ্ধার করা কম্পিউটারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভবন এবং বাসভবনের ছবি পাওয়া গিয়েছে। ব্রাহিমের ভাই যেখানে নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় সেই একই রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অবস্থিত। 

আরেকটি স্থানীয় পত্রিকা দাবি করেছে, হামলাকারীরা শুধু ইন্টারনেটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে।  তারা আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়েও অনুসন্ধান করেছে।

তৃতীয় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে খুঁজতে কম্পিউটারে প্রাপ্ত তথ্য পুলিশের অন্যতম সূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তৃতীয় হামলাকারীর বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি। বেলজিয়াম পুলিশ এফবিআইকে ল্যাপটপের হার্ডডিস্কের কপি পাঠিয়েছে তা ভালো করে পর্যবেক্ষণের জন্য।

মঙ্গলবার বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পৃথক জোড়া বোমা হামলায় নিহত ৩২ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছে। এদের ১৭ জন বেলজিয়ামের এবং বাকি ১৫ জন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এখনও ৯৪ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/