পানামা পেপারস

আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর গুনলাউগসনের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিতে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর নতুন সাধারণ নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছেন। পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া নথিতে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক সম্পত্তি থাকার কথা প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার এ বিক্ষোভ করা হয়।

সোমবার দেশটির সংসদের বাইরে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গার্ডিয়ানে প্রতিবাদকারীদের সংখ্যা ১০ হাজার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ অব্যাহত আছে। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ২৮ হাজার মানুষ একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। দেশটির মোট সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার।

পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায় ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী বিদেশে একটি কোম্পানি ক্রয় করেছেন। যে কোম্পানিটি আইসল্যান্ডের তিনটি ব্যাংকের বন্ডের মালিক ছিল। ওই বছর আর্থিক মন্দার সময় লোকসানের মুখে পড়ে ব্যাংক তিনটি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী নন, তার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যেরও বিদেশে অবৈধ ও গোপন সম্পত্তি রয়েছে।

পানামা পেপারস ফাঁস হওয়ার আগে থেকেই দুর্নীতি ইস্যুতে আইসল্যান্ডের রাজনীতি উত্তপ্ত ছিল। চলতি বছরের শুরুতে এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ৭০ শতাংশ আইসল্যান্ডার সিগমুন্ডুরকে ক্ষমতায় দেখতে চান না। দেশটির বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। এই সপ্তাহের শেষ দিকে এ অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর  তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক টিভি চ্যানেলে আলোচনার সময় প্রসঙ্গটি আসলে তিনি আলোচনা থেকে উঠে চলে যান। তিনি বিষয়টি অপ্রসাঙ্গিক প্রশ্ন হিসেবে উল্লেখ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে পুরো অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর কোনও প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে না বলেও দাবি করা হয়। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান।

/এএ/