জার্মানিতে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জার্মানিতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছেন জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাইন। শুক্রবার তিনি এই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, একমাসের লকডাউন সফল হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।  জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ধীরে ধীরে লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণার দুইদিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই দাবি করলেন।

_111835917_germedics

পরিসংখ্যান তুলে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পাইন জানান, সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা কমছে। আমরা মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছি।

জার্মানিতে শুক্রবার আরও ৩৩৮০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই নিয়ে দেশটিতে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৮ জনের।

ম্যার্কেলের ঘোষণা অনুযায়ী সামাজিক শিষ্টাচার মেনে চলার নিয়ম বলবৎ থাকবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। তবে গণপরিবহন ও দোকানে মাস্ক ব্যবহার চালু থাকবে। এই সপ্তাহ থেকে খুলে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট কিছু দোকান। আগামী ৪ মে থেকে পর্যায়ক্রমে জার্মানির স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া ধর্মীয় জমায়েতসহ বড় ধরনের জনসমাগম আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বার, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা ও গানের আয়োজনগুলোও বন্ধ থাকবে।

ইউরোপের মধ্যে ডেনমার্ক নার্সারি ও মাধ্যমিক স্কুলের কয়েকটি ক্লাস খুলে দিয়েছে। ১১ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এখন থেকে স্কুলে যাবে। স্পেনে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে কাজ শুরু হতে চলেছে। অস্ট্রিয়ায় কয়েক হাজার ছোট দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ মে থেকে শুরু হবে টেনিস, গলফ ও আরও কয়েকটি খেলা।

গত বছরের শেষে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হলেও, তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বের কয়েকশো দেশে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ২৪ হাজার ৪২৬। এরমধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।