জার্মানিতেও করোনা টিকার ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’

করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো জার্মানিতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জার্মান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিয়নটেক টিকা আবিষ্কারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়ার পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে কোম্পানিটি। বিয়নটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে অনুমোদন পেলে এই বছরের শেষের দিকে কয়েক লাখ ডোজ তারা উৎপাদন করতে পারবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখবর জানিয়েছে।

53019735_303

জার্মানির কেন্দ্রীয় টিকা ও বায়োমেডিসিন কর্তৃপক্ষ পাউল-এয়ারলিশ ইনস্টিটিউট (পিআই) জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নিরাপদ ও কার্যকর টিকা তৈরির পথে মানুষের উপর পরীক্ষা জার্মানি ও অন্যান্য দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্ভাব্য এই টিকার উপাদানের কার্যকরিতা ও ঝুঁকি পরীক্ষা করেই এমন অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিয়নটেক কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ২০০ সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই টিকা পরীক্ষা করা হবে। মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিয়নটেক টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরের জন্য আরএনএ বা জিনভিত্তিক সম্ভাব্য এই টিকা কতটা উপযুক্ত ও নিরাপদ, তা পরীক্ষা করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের উপরেও পরীক্ষা চালানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্যাথোজেনের জিন সম্পর্কে তথ্যের ভিত্তিতে শরীরে বিশেষ ধরনের প্রোটিন উৎপাদন করা হচ্ছে। এই প্রোটিনের কল্যাণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ প্রণালী উপযুক্ত অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তখন ভাইরাস সেই মানুষকে সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না।

সিইও উগুর সাহিন মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে টিকার অনুমোদন ঐতিহাসিক দ্রুততার সঙ্গে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে টিকার উপকারিতা অপরিসীম। মহামারি পরিস্থিতিতে টিকার অনুমোদন অতীতের পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন হতে পারে।

তিনি জানান, অনুমোদন পেলে বিশ্বের মানুষের কাছে টিকা যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা।