লকডাউন শিথিলের পর জার্মানিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল করোনা লকডাউন শিথিল করার কয়েকদিনের মধ্যেই দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে এখন প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তি দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার হার এক এর চেয়ে বেশি। এর অর্থ হলো দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছে। শনিবার লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভের পর এই তথ্য সামনে আসলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_112220086_061173788

জার্মানিতে  করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে সাত সহস্রাধিক মানুষের।  

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর জার্মানির ১৬টি প্রদেশের নেতাদের চাপের মুখে গত বুধবার লকডাউন বিধি শিথিল ঘোষণা করে ম্যার্কেলের সরকার। আরও বেশি দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়। এমনকি খুলে দেওয়া হয় স্কুলও। এর পরই করোনার সংক্রমণ গতি পেয়েছে। 

জার্মানির রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট দৈনিক বুলেটিনে জানিয়েছে, এখন এক জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ১.১ হারে নতুন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করে চলেছেন। অর্থাৎ এক জন করোনা রোগীর সংক্রমণ ঘটানোর হার (রিপ্রোডাকশন রেট) বেড়েছে। আর তাতেই প্রমাণ হচ্ছে লকডাউন বিধি শিথিল হওয়ার পর জার্মানিতে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।

এমনটা আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, লকডাউন বিধি শিথিল হলে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ আসতে পারে।   
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়া ও শেলসউইগ হলস্টেইন রাজ্যের দুটি জেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক রূপ নিয়েছে। সেখানকার মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের শ্রমিকরা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। লকডাউন বিধি আপাতত শিথিল হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের পথও উন্মুক্ত রয়েছে জার্মান সরকারের।

ইউরোপের আগের পরিস্থিতি উন্নতির দিকে স্পেন ও ইতালিতে। স্পেনে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি মানুষের। ইতালিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার জনের। ফ্রান্সে সংক্রমিত এক লাখ ৭৬ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার মানুষের।

স্পেন ও ইতালিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকলেও বাড়ছে রাশিয়াতে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি। তবে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা কম। রাশিয়ায় করোনায় মারা গিয়েছেন এক হাজার ৯০০ জন।