ছররা গুলিতে কিশোরের মৃত্যুর পর ফের উত্তাল কাশ্মির, কারফিউ জারি

nonameহিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরজুড়ে টানা উত্তেজনার ৯২তম দিনে নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া ছররা গুলিতে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল হয়েছে কাশ্মিরের শ্রীনগর। বিক্ষোভ দমনে পুনরায় শ্রীনগরজুড়ে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ৯২তম দিনেও কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের ডাকে সাড়া দিয়ে স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

শ্রীনগরের সৈয়দপাড়ার বাসিন্দা কিশোর জুনায়েদ আহমদ নিজ বাড়ির সামনেই পুলিশের ছররা গুলিতে আহত হয়। পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা জানায়, তারা বিক্ষোভ দমনের জন্য ছররা গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশেরই একটি সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, জুনায়েদ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ছিল না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সে (জুনায়েদ) নিজ বাড়ির মূল ফটকের সামনে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় তার গায়ে এক ঝাঁক ছররা গুলিতে সে আহত হয়।’

জুনায়েদের মৃত্যুর পর তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে কয়েকশ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। ঈদগাহ ময়দানে জানাজার জন্য জুনায়েদের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাবাহিনী টিয়ারগ্যাস শেল ছোড়ে।

স্থানীয়রা জানান, জানাজার প্রস্তুতি শুরু হলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। তখনও বিক্ষুব্ধদের থামাতে টিয়ারগ্যাস শেল ও ছররা গুলি ছোড়া হয়।

৮ জুলাই হিজবুল মোজাহেদিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৯০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দশ হাজারেরও বেশি। টানা বিক্ষোভের ৯২তম দিনেও স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।  

/এএ/