এবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে তালাক

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে তালাকসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পর এবার এক ভারতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। সৌদি আরবে কর্মরত মোহাম্মদ মুশতাকুদ্দিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে হায়দরাবাদে বসবাসরত ২৫ বছরের স্ত্রীকে তালাক দেন। দায়দরাবাদ পুলিশ মুশতাকুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে।

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী পুলিশকে জানান, ৪ মার্চ স্থানীয় একটি উর্দু দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে তিনি অবাক হন। এরপর তিনি স্বামীর আইনজীবীর কাছ থেকে একটি ফোন পান।

২০১৫ সালে ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় মুশতাকুদ্দিনের। পাঁচ মাসের মাথায় স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি আরব চলে যান তিনি। সৌদি আরবে তিনি ব্যাংকে চাকরি করেন। গত বছর তাদের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিয়েছে।

দুই মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ওই নারী ভারতে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এর তিন সপ্তাহ পর মুশতাকুদ্দিন কাউকে না জানিয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করেন। স্ত্রীর কোন ফোন ধরছিলেন না। ওই নারী জানান, শ্বশুড় তাকে জানিয়েছেন মুশতাকুদ্দিন সৌদি আরব ফিরেছে। শ্বশুড় তাকে কিন্তু যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।

ওই নারী বলেন, যদি ভুল কিছু করে থাকি তাহলে তিনি আমার ও বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। আমার ভুল হলে সবার সামনেই তালাক দিতে পারতেন, কারণ সবার সামনেই তিনি আমাকে বিয়ে করেছেন। কেন তিনি আমার সঙ্গে দেখা না করে সৌদি আরব চলে গেছে... এবং দশ বছরের একটি মেয়ে থাকতেও কেন তিনি আমাকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তালাক দিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা এস গঙ্গাধর জানান, মুশতাকুদ্দিন ২০ লাখ রুপি যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।

হায়দরাবাদে কিছুদিন আগে নব বিবাহিত স্ত্রীকে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে তিন তালাক দেওয়ার ঘটনার পর এই ঘটনা ঘটল। এছাড়া বছরের শুরুতে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন তালাক দেন।

ইসলাম ধর্ম মতে, স্বামী স্ত্রীর উদ্দেশে তিনবার তালাক শব্দ উচ্চারণ বা বললে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আগামী মাসে তিন তালাকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি আবেদনের বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/