পশ্চিমবঙ্গ রফতানিকারক সমন্বয় কমিটির মহাসচিব উজ্জ্বল সাহা জানান, আটকে পড়া ট্রাকগুলোতে ছিল ফল, পেঁয়াজ, মসলা, পাথরকুচি ও পাথর। তিনি বলেন, পরে কাস্টম বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা পুরনো পদ্ধতিতে রফতানি বিল তৈরির নির্দেশ দিলে ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়। ভাগ্য ভালো বাংলাদেশে ঈদের কারণে শনিবার বাণিজ্য বন্ধ ছিল। না হলে শনিবার থেকেই এ বিড়ম্বনা শুরু হতো।
মাহাদীপুর স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫০০টি ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতি বছর এই বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি করে দেড় হাজার কোটি রুপি আয় করে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সময় মতো কম্পিউটারের সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে না পারায় বন্দরটিতে রবিবার অন্তত ১০ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় ইংলিশবাজার আসনের এমএলএ নিহার রঞ্জন ঘোষ।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ভারতে নতুন কর ব্যবস্থা জিএসটি চালু হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের আগের আরোপিত করের হার বাতিল হয়ে গেছে। জিএসটির মধ্য দিয়ে পুরো ভারতে অভিন্ন কর ব্যবস্থা চালু হয়।
/এএ/