মুম্বাইয়ে আগুন: চাচীকে বাঁচাতে প্রাণ গেলো দুই ভাইয়ের

ধাইরিয়া ও বিশ্ব লালানি দুই সপ্তাহ আগে মুম্বাই এসেছিলেন। আসার পর পরিবারের অনেকের বিয়েতে তারা হাজির হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুই ভাইকে নিয়ে চাচী একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তাদের অনেক বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বিশ্ব লালানি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ছুটি কাটাতে এসে ধারিয়া ও বিশ্ব মুম্বাইয়ের কামলা কারখানায় আগুনে নিহত হয়েছেন। আগুন লাগার পরপরই তারা দুই ভাই হোটেল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু চাচীকে আগুন থেকে বাঁচানোর পুনরায় ভবনটিতে প্রবেশ করেন। তারা আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। শুক্রবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া তাদের বন্ধুরা জানান, চাচীসহ দুই ভাই ও তাদের বন্ধুরা ওয়ান এবোভ রেস্তোরাঁর প্রবেশ মুখে পাশে একটি টেবিলে বসেছিলেন।

ধাইরিয়া লালানি

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ধাইরিয়া ও বিশ্ব’র লাশ রেস্তোরাঁর ওয়াশরুমে পেয়েছেন অনেকগুলো লাশের সঙ্গে। সেখানে অনেকের লাশ পড়েছিল। তাদের একজন ছিলেন দুই ভাইয়ের চাচী প্রমিলা কেনিয়া।

কর্মকর্তারা জানান, তাদের তিনজনের শরীরে কোনও অগ্নিদগ্ধের চিহ্ন ছিল না। ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

দুই ভাইয়ের পারিবারিক বন্ধু নিরভি শাহ জানান, তারা রেস্তোরাঁর প্রবেশ মুখের পাশে বসে ছিলেন। ফলে আগুন লাগার পর দ্রুত বেরিয়ে যান। নিচে নামার পর দুই ভাই খেয়াল করলেন তাদের চাচী প্রমিলা নেই সেখানে। তখন তারা আবার চাচীর খোঁজে রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেন।

ধাইরিয়া পাঁচ বছর বয়স থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছিলেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন। তার ফিরে যাওয়ার তারিখ ঠিক করা ছিল না।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের কমলা মিলস ভবনের কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা আশেপাশের রেস্তোরাঁ ও অফিস ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস