ভারতে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী দেশি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, দেশে নকশাকৃত ও উৎপাদিত ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তারা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা করেছে। নাগ নামের তৃতীয় প্রজন্মের এই ‘এ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটির’ (এটিজিএম) পরীক্ষা হয়েছে দুটি ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে। দুটি পরীক্ষামূলক আক্রমণেই সফল হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটি চার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি উৎক্ষেপণের আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে হয়। উৎক্ষেপণের পর ‘থার্মাল ইমেজের’ সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি চলমান লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। ডিপ্লোম্যাট জানিয়েছে এ খবর।

nag

‘ক্ষেপণাস্ত্রটি আরও একবার তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে’, জানিয়ে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষাপর্ব পার করে এখন উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হলো।’ ডিআরডিও ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্রটির নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে ঘোষণা দিলেও নাগ এটিজিএম নিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী বিশেষ কোনও বক্তব্য দেয়নি। আগে একবার তারা বলেছিল, তারা চায় ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরীর কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাক।

নাগ ক্ষেপণাস্ত্রটি বাহিনীতে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী পিছিয়ে দিয়েছিল। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটির ‘থার্মাল সেন্সর’ সহ আরো কিছু দিক প্রত্যাশিত মানের ছিল না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এফজিএম-১৪৮ জ্যাভেলিন ও ইসরায়েলের স্পাইক এটিজিএমের মধ্য থেকে স্পাইককেই পছন্দ করেছিল। কিন্তু ডিআরডিও নাগের পক্ষে দেনদরবার করলে ভারত ইসরায়েলের সাথে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ৩২১টি স্পাইক এটিজিএম ব্যবস্থা ও ৮,৩৫৬টি ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিল। ট্যাঙ্কবিধ্বংসী নাগ ক্ষেপণাস্ত্রটির খরচ বেশি হওয়ায় কিছু সমালোচনাও আছে।

ডিআরডিও নাগ এটিজিএম নিয়ে কাজ করছে প্রায় এক দশক ধরে। ভারতীয় সরকার প্রায় ৮ হাজার নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে চায়। প্রাথমিকভাবে ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে ইচ্ছুক তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রকমের প্রায় ৬৮ হাজার এটিজিএম ও ৮৫০টি উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার দরকার।