গুলিতে নিহত ব্যক্তি লস্কর সদস্য হতে পারে: ভারত

বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একজন জঙ্গিকে গুলি করে মেরে ফেলছে। এ ঘটনা ঘটেছে কাশ্মিরের বান্দিপোরা জেলার হাজিন নামক এলাকায়। তল্লাশি চৌকিতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকে পাকিস্তানি লস্করের সদস্য মনে করছে পুলিশ। অন্যদিকে, এলাকাবাসী নিহতের লাশ কবর দিয়েছে এবং দুইদিন হাজিন এলাকায় হরতাল পালন করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ খবর।

kashmir

জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতির আগাম খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছিল । সেখানেই মারা গিয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গি। ওই স্থান থেকে একে ৪৭ বন্দুক, গোলাবারুদ ও অভিযুক্ত করার মতো অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি লস্কর ই তৈয়বার সদস্য এবং পাকিস্তানের নাগরিক।

হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, কারও কারও দাবি নিহত ব্যক্তি আগের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। উত্তেজিত জনতা তার মৃতদেহ পুলিশকে নিতে দেয়নি। তারা মরদেহটিকে স্থানীয় কবরস্থানে নিয়ে কবর দিয়েছে।  পুলিশ বলেছে, জনতাকে উত্তেজিত করার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইন্টারনেটে কিছু কিছু উৎস থেকে বন্দুকযুদ্ধের ওই ঘটনাকে ঘিরে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। স্বার্থান্বেসী মহল এসব মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে সুবিধা নিতে চাইছে। জনসাধারণ যেন ওইসব খবর বিশ্বাস না করে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলার প্রতিবাদে হাজিন জেলায় মঙ্গল ও বুধবার হরতাল পালন করা হয়েছে।

এদিকে কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বুধবার কোনও কারণ ছাড়াই গুলি শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। তাদের গুলিতে দুই সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের নাম সিপাহি মুনির চৌহান ও সিপাহি আমির হোসেন। পাকিস্তানের দাবি, তারাও পাল্টা গুলি করে ভারতীয় ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। 

অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মভঙ্গ করে গুলি চালিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। দ্য হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনী মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেভেন্দার আনন্দ বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি হামলার কঠিন জবাব দিচ্ছে।