ভারত থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘ মেয়াদে ভারত থেকে দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের এক কর্মকর্তার বরাতে এই খবর জানিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই। ভারতে অনুষ্ঠিত একটি একটি জ্বালানি সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য জানিয়েছেন। বর্তমানে ভারত থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।

power-electricity_1280x720-770x433

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় দ্য কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রি (সিআইআই) আয়োজিত জ্বালানি সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার ভারতে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। চলতি বছর নবমবারের মতো ওই সম্মেলন আয়োজন করেছে সিআইআই (পূর্বাঞ্চল)। এখানে ভারতের জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে পেশাজীবীরা তাদের মতামত তুলে ধরে থাকেন।

সম্মেলনে  আবুল কালাম আজাদ জানান, গত দশ বছরে বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা পাঁচগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। ৪০০কেভিএ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হলে শিগগিরই অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।’

বিদ্যুৎ উৎপাদনখাতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জানান, আগামী মাস থেকেই ভারতীয় কোম্পানি দামোদর ভ্যালি কর্পোরশনও বাংলাদেশে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশি কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্দিষ্ট লাইনের মাধ্যমে ৬০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে আমরা ভারতের একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী আরও কয়েকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি। প্রস্তাবকারী কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায়।’

আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০৪১ সাল নাগাদ ভারত থেকে দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। জ্বালানি খাতের জনবলের দক্ষতা বাড়াতে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা প্রশিক্ষণ সহায়তা পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।