পুরুষদের সুরক্ষায় আইন পাস করতে হবে: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বলেছে, যেহেতু সংসদ স্ত্রীদের সুরক্ষায় আইন পাস করেছে সেহেতু ওই আইনের অপব্যবহার থেকে স্বামীদের সুরক্ষা দিতে সংসদকেই যথাযথ আইন পাস করতে হবে। আদালত একই সঙ্গে নারীদের করা মামলায় অতি উৎসাহী পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করেছে। এখন থেকে স্বামীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা স্ত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি অভিযান চালানোর আগে পুলিশকে মূল্যায়ন কমিটির অনুমতি নিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রা, বিচারপতি এএম খানউইকার এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।lawyers-outside-supreme-court-photographed-pradeep-march_372b3e48-d06c-11e7-ac2e-6fc61cbabe91

যৌতুকের দাবিতে ঘটা পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধ করতে ভারতের সংসদ ১৯৮৩ সালে ৪৯৮এ পাস করে। ওই ধারায় পারিবারিক সহিংসতার ঘটনার অভিযোগ জামিনযোগ্য নয়। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট মনে করে, সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালতের নির্ধারণ করা উচিত যে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো উচিত কি না। পারিবারিক সহিংসতাবিরোধী আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার ৪৯৮এ ‘খুবই স্পর্শকাতর’ এবং এর ওপর ভিত্তি করে পুলিশের অতি আগ্রহী কর্মকাণ্ডের কারণে সামাজিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধে যেহেতু সংসদই আইন পাস করেছে সেহেতু সংসদকেই ওই আইনের অপব্যবহার থেকে পুরুষদের সুরক্ষা দিতে আইন পাস করতে হবে।

গত বছর দুই সদস্যের এক বেঞ্চের দেওয়া রায়ে ‘নিপীড়িত পুরুষদের হয়রানি’ করার যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তা শুক্রবারে দেওয়া রায়ে বাতিল করা হয়েছে। সেকশন ৪৯৮এ মোতাবেক দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে পারত। আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে ৪৯৮এ ধারা অনুযায়ী কোনও পুরুষকে গ্রেফতার করতে হলে আগে জেলা পর্যায়ের এ সংক্রান্ত কমিটিকে জানাতে হবে। কমিটি অনুমতি দিলে, অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ।