রুশ অস্ত্র ক্রয়ে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রধান ক্ষেত্র। যার ফলে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয়ে বড় ধরনের অংক বিনিময় হলে ওই দেশের বিরুদ্ধে পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন সফরে ভারত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই হুঁশিয়ারি জানালো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

India-Russia-Putin-Modi-plan-strengthen-ties-US-sanctions-Trump-Modi-Putin-962792

 

বৃহস্পতিবার ভারতে শুরু হচ্ছে রুশ-ভারত সম্মেলন। ৪-৫ অক্টোবরের এই সম্মেলনে যোগ দেবেন পুতিন। এই সফরে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এস-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চূড়ান্ত চুক্তি করবে। রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করার ফলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভারত। এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে চীন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে আইনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেটাকে বলা হচ্ছে কাউন্টারি আমেরিকা’স অ্যাডভাসারিজ থ্রু স্যাংকশন অ্যাক্ট।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আইনের ২৩১ ধারায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের মূলক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন বা পরিমাণগতভাবে সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, যার মধ্যে এস-৪০০ রয়েছে। আমরা সব মিত্র ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই রাশিয়ার সঙ্গে বিনিময় বন্ধ করতে, যা এই আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

আইন অনুসারে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনও দেশকে বিশেষ ছাড় দিতে পারেন, যদি তা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয় এবং প্রমাণ হয় যে ওই দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানি ও নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলছেন, ছাড়ের সুযোগ কম। এর আওতায় আগের কেনা অস্ত্রগুলোর জন্য শুধু পার্টস কেনার সুযোগ রাখা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ছাড় দিলেও তাতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।