রুপের প্রতি মোদির পক্ষপাতে মাস্টারকার্ডের অভিযোগ

রুপে (RuPay) নামের স্থানীয় পেমেন্ট প্রসেসিং নেটওয়ার্কের পক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচার-প্রচারণায় আপত্তি জানিয়েছে মাস্টারকার্ড। প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ, একটি সেবার পক্ষে এভাবে মোদির প্রচার-প্রচারণা চালানো এবং সেই প্রচারণায় জাতীয়তাকে ব্যবহার করার কারণে ভারতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাস্টারকার্ডের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে মাস্টারকার্ড গত ২১ জুন লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে ‘ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভকে’ (ইউএসটিআর)।2018-11-01T155245Z_648772342_RC16A2FEC2D0_RTRMADP_3_INDIA-MASTERCARD

রুপে ভারতের দেশি পেমেন্ট প্রসেসিং নেটওয়ার্ক। দেশটিতে ব্যবহৃত ব্যবহৃত ৫০ কোটি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এখন রুপে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। আর পেমেন্ট প্রসেসিং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়ে মোদি প্রচারণা চালাতে গিয়ে বলেছেন, এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করলে দেশের অর্থ দেশেই থাকবে। আর এতে দেশে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল বানানোর জন্য অর্থ পাওয়া যাবে। মাস্টারকার্ড মনে করে, এমন ‘অপযুক্তি’ ব্যবহার করে রুপের পক্ষে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রচারণা চালানোয় তারা চাপে পড়ে যাচ্ছে এবং মোদির এমন সংরক্ষণশীল পদক্ষেপ মুক্ত বাণিজ্যের শর্তের বিপরীত।

২১ জুন ‘ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভকে’ (ইউএসটিআর) লেখা চিঠিতে মাস্টারকার্ডের ‘গ্লোবাল পাবলিক পলিসির’ ভাইস প্রেসিডেন্ট সারাহ ইংলিশ উল্লেখ করেছেন, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রসারের ক্ষেত্রে মোদির ভূমিকা ‘প্রশংসনীয়।’ কিন্তু তিনি এমন কিছু সংরক্ষণশীল নীতি বাস্তবায়ন করছেন যা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধাগ্রস্ত করছে।

মাস্টারকার্ডের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একই কথা বারবার আসা এবং সরকারিভাবে রুপের প্রচার-প্রচারণায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। রুপের প্রতি ভারতীয় সরকারের যে পক্ষপাতমূলক অবস্থান রয়েছে এবং অর্থ দেশেই থাকবে বলে যে অপযুক্তি দেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ হওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ভিসা, মাস্টারকার্ড, সারাহ ইংলিশ ও ইউএসটিআর কেউই রয়টার্সের কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মাস্টারকার্ড শুধু বলেছে, তারা ‘ভারতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।’