মিয়ানমারকে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ভারতীয় প্রেসিডেন্টের

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে থাকা মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সফররত ভারতীয় প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ। সোমবার শুরু হওয়া ভারতীয় প্রেসিডেন্টের এই সফর শেষ হবে শুক্রবার। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এখবর জানিয়েছে।

kovind_myanmar_president

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মুইন্টের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফরে রয়েছে কোবিন্দ। মঙ্গলবার মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। নৈশভোজে দেওয়া ভাষণে কোবিন্দ বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া, জাতীয় পুনর্মিলন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মিয়ানমার যে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে ভারতে তা সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। আমি আপনাদের বলতে চাই যে, ভারতের সরকার ও জনগণ আপনাদের পাশে রয়েছে।

ভারতীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, মিয়ানমারের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় ও শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এই সমর্থন ছাড়া মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ভারতীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগরিকদের জন্য উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কানেক্টিভিটির মতো উদ্যোগ সফল করতে পারবে না ভারত।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি ও নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসির ভিত্তিতে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত গুরুত্ব দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভারতীয় প্রেসিডেন্টের এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।

২০১৭ সালে উভয় দেশ রাখাইন রাজ্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে ২৫০টি ঘর বানানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতীয় প্রেসিডেন্টের সফরের সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০টি ঘর হস্তান্তর করেছেন।

ভারতীয় প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখে রাখাইন থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই মিয়ানমার সরকারের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে ভারত। যদিও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে নয়া দিল্লি।